বায়েজিদে চলছে হামকা আল-আমিনের রমরমা মাদক বাণিজ্য দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২৪ পর্ব-১ বিশেষ প্রতিনিধি:: মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মরণব্যাধি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা বিদ্যমান তার একটি অন্যতম প্রদান সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল থাবা। দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।নগরীর বায়েজিদ এ প্রতিদিনই বাড়ছে মাদক ব্যবসা। ঝুঁকে পড়ছে সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রিরা।বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক ব্যবসা চলছে দেদারসে।বর্তমানে যার অনেকটাই নিয়ন্ত্রন হামকা আলামিনের হাতে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমিন কলোনির একটি ঘর থেকে দেশীয় অস্ত্র,জাল টাকা,চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপ, ও মাদক সেবনের বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী উদ্ধারকৃত মালামাল গুলো আল আমিনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়ে ছিল। দেশীয় অস্ত্রগুলো সে তার অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করত।তার এই অপরাধ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার উপরে নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন। এমনই এক ভুক্তভোগীর সালাউদ্দিন সালু জানান আমি এই হামকা আলামিনের মাদক বাণিজ্যের বিরোধিতা করাই সে আমাকে গতকাল মারধরও করেছে এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে পুলিশ আলামীনকে গ্রেফতার না করে উল্টো আমাকে হয়রানি করছে।আল আমিনের বিরুদ্ধে বায়েজিদসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান বেশ কিছুদিন আগে আমিন কলোনির স্থানীয় শিক্ষিত সমাজের কিছু কিশোর যখন আল আমিনকে মাদক বিক্রিতে বাঁধা প্রধান করে সেই সময় আল আমিন ও তার পালিতো কিশোর গ্যাং তাদেরকে মারধর করে ও আইনি পদক্ষেপ নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। উক্ত পরিস্থিতিতে বায়েজিদের সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত হামকা আল আমিনের এই মাদক সিন্ডিকেট ভেঙ্গে আল আমিনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব না হলে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার যুব সমাজ ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার উপর আশংকা জনক ভাবে প্রভাব পড়বে। তবে বর্তমানেও বায়েজিদে মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে যার প্রভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অপ্রীতিকর ঘটনা। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত এই মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যদের আইনের আওতায় যেন আনা হয়। উক্ত বিষয়ে বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে মাদক সম্রাট হামকা আল আমিনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বর্তমানে একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি আপনার কথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না এ বলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন। SHARES অপরাধ বিষয়: