আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন মধ্যম বুড়িশ্চর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ সেলিম, পারভেজ উদ্দিন জিকু ও আব্দুল শুকুর রনি গংদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ জসিম উদ্দিনের বক্তব্য মতে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের সাবেক রফিক চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী উক্ত মানববন্ধনে উনার ভাতিজা মহিউদ্দিন এলাকাবাসির সাথে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে সাবেক রফিক চেয়ারম্যান বিভিন্ন ভাবে জসিম উদ্দিনের পরিবার পরিজনের উপর হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা জড়ান এই প্রবাসী পরিবারকে। মিথ্যা একাধিক মামলায় আদালতের বিচারের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হয় এই সমাজসেবক সহ উনার পরিবারের সদস্যরা। ”তিনি আরো বলেন সম্প্রতি আমি ও আমার ছোট ভাই বেলাল উদ্দিন বিজয়ের মধ্যম বুড়ির চরে বিএস ১৮৪০ ও ১৮৪১ দাগে ক্রয়কৃত জমিতে প্রভাব দেখিয়ে দখল করতে চাইলে বেলাল উদ্দিন বিজয় চট্টগ্রাম আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত ভুমিতে ১৪৫ ধারা জারি করে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি অনুলিপি ফেরন করেন। কিন্তু গেল ১৩ তারিখ রফিক চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনায় তার ভাই মোঃ সেলিম,পারভেজ আলম জিকু, আব্দুল শুকুর রনি সহ বেশ কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করছে এমন খবর পেয়ে উক্ত স্থান পরিদর্শনে গিয়ে মৌলিক বাধা দিলে মোঃ সেলিম সহ তার ভাইয়েরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়ে আমি হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং পুলিশ গিয়ে উক্ত ভূমিতে দেয়াল নির্মাণের কাজের সত্যতা পাই এবং তাদের আর কাজ না করার কথা জানিয়ে চলে আসে। পুলিশ চলে আসার পর তারা পুনরায় আবার দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে। উক্ত ১৪৫ ধারার মামলার ২৪/০৩/২০২৫ তারিখে শুনানি রয়েছে। কিন্তু হাস্যকর হলেও সত্য যে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করে নিজেরা তা ভেঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন রফিক চেয়ারম্যানের ভাইয়েরা। অথচ তাদের দাবি অনুযায়ী জোরপূর্বক নির্মান করা দেয়াল ভাঙ্গার/হামলার অভিযোগে উল্লেখ করা সময়ে আমি ও নওশাদ আরাফাত প্রকাশ রুবেল হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছিলাম। যা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা দেখলেই প্রমাণিত হবে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও পরোপকারী মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের মানুষের সুখে দুঃখে বুড়িশ্বরবাসী আমাকে পাশে পেয়েছে এবং আমার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি বুড়িশ্চর বাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চাই। এছাড়াও আমি বুড়িশ্চর উচ্চ বিদ্যালয়ের বারবার নির্বাচিত স্কুল কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রশাসনের নিকট আমার জোর দাবি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের অতি দ্রুত যেন আইনের আওতায় আনা হয়। উক্ত বিষয়ে মুঠোফোনে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান আমাদের পুরাতন দেয়াল তারা ভেঙ্গে দিয়েছে। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উক্ত বিষয়ে আমি অবগত নয়। SHARES অপরাধ বিষয়: